<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতার শেষ দিনগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আশা ফিকে হচ্ছে। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল সরকারের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। আরব মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের শেষ সময়ের মধ্যে গাজা নিয়ে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এমন কথা জানায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ি প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। কাজেই বাইডেনের হাতে সময় খুব একটা নেই। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছতে নতুন করে যে তোড়জোড় চলছিল, সাম্প্রতিক সময়ে তা থমকে রয়েছে। আরব মধ্যস্থতাকারীদের বক্তব্যের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট বলছে, ইসরায়েল ও হামাস ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির কথা বিবেচনা করছিল, যে সময়ের মধ্যে গাজায় আটকে থাকা ৩০ জন পর্যন্ত ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, জিম্মিদের ফেরত পাওয়ার বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিজেদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল এবং গাজায় বেশি মাত্রায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেবে। তবে আলোচনায় ইসরায়েল জেদ ধরে বলছে, তারা শুধু জীবিত জিম্মিদের গ্রহণ করে। এ ছাড়া হামাসের প্রস্তাবিত কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে ইসরায়েল সরকার। অন্যদিকে হামাস চায়, এই যুদ্ধবিরতি হবে গাজায় যুদ্ধ অবসানের একটি পথ। দুই পক্ষের এমন মতবিরোধে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা চলছে। আরব মধ্যস্থতাকারীরা তাই মনে করছেন, বাইডেন তাঁর আমলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে নতুন বছর শুরু হলেও গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থামেনি। বছরের প্রথম দিনই গাজার জাবালিয়া, মধ্য বুরেইজ শরণার্থীশিবির এবং খান ইউনিস শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় শিশুসহ অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় জনসংখ্যা কমেছে : ইসরায়েলি বাহিনীর ধ্বংসাত্মক হামলার ফলে গাজার জনসংখ্যা প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিসিবিএস)। সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় এক লাখ ফিলিস্তিনি গাজা ছেড়ে পালিয়েছে। ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে জাতিসংঘ বলছে, গাজায় হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে হামলা চালানোর পক্ষে সাফাই দিতে ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এসব স্থাপনা ব্যবহার করছে। ইসরায়েলের এমন কথাবার্তা অস্পষ্ট, স্থূল আর সর্বজনীনভাবে পাওয়া তথ্যগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। সাম্প্রতিক সময়ে গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে আক্রমণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালককে ধরেও নিয়ে গেছে তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে আসছে। প্রায় ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় ধ্বংস, মৃত্যু আর ক্ষুধার প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি। সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, আলজাজিরা, এএফপি</span></span></span></span></span></p>