<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হস্তগত করার একটি উপায় হলো ছিনতাই। ইদানীং পত্রপত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে ছিনতাইয়ের খবর। কিছু কিছু খবরে তো ছিনতাইকারীদের হাতে মানুষের প্রাণনাশেরও খবর পাওয়া যায়। অথচ অন্যের সম্পদ হস্তগত করার এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ কোরো না এবং এ উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা কোরো না যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনেশুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু রায়হানা (রা.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ১৯টি কাজ নিষেধ করেছেন। (১) দাঁতকে ধারালো করা। (২) শরীরে উলকি লাগানো। (৩) (সৌন্দর্যের জন্য) মুখের পশম উঠানো। (৪) কাপড়ের আবরণ ব্যতীত দুজন পুরুষের একই চাদরের নিচে শয়ন করা। (৫) কাপড়ের আবরণ ছাড়া দুজন মহিলার একই চাদরে শয়ন করা। (৬) আজমিদের ন্যায় জামার নিচে রেশম ব্যবহার করা। (৭) অথবা আজমিদের ন্যায় জামার কাঁধে রেশম ব্যবহার করা। (৮) ছিনতাই করা। (৯) চিতার চামড়ার গদির ওপর সওয়ার হওয়া এবং (১০) শাসক ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে সিলযুক্ত আংটি ব্যবহার করা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(মিশকাত, হাদিস : ৫৪০৩)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করা নিজের জন্য জাহান্নাম বরাদ্দ দেওয়ার নামান্তর। এটা ঈমান পরিপন্থী কাজ। কোনো মুমিন এই কাজে লিপ্ত হতে পারে না। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, সাঈদ ইবনে উফায়র (রহ.)...আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যভিচারী মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না এবং কোনো মদ্যপায়ী মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না। কোনো চোর মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। কোনো লুটতরাজকারী মুমিন অবস্থায় এরূপ লুটতরাজ করে না যে যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে। (বুখারি, হাদিস : ২৩১৩)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থাৎ উল্লিখিত কাজগুলো ঈমান পরিপন্থী কাজ। কেউ যখন এসব কাজে লিপ্ত হয় তখন সে পরিপূর্ণ মুমিন থাকে না। তার অন্তরে ঈমানের নুর থাকে না। এখানে এটা উদ্দেশ্য নয় যে সে কাফির হয়ে যাবে। কাফির না হয়ে গেলেও এগুলো যে জঘন্যতম অপরাধ তা এই হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়। অন্য হাদিসে এই কাজের আরো ভয়াবহ পরিণতি উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ...আর যে ব্যক্তি অন্যের সম্পদ ছিনতাই করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩৪০)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর চেয়ে বড় অভিশাপ আর একটা মুমিনের জন্য কী হতে পারে! যাকে নবীজি (সা.) নিজের উম্মত বলে স্বীকার করবেন না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন। </span></span></span></span></p>